রাজপুত জাতি || The Rajput

রাজপুত জাতি : রাজপুত্র কথাটির অপভ্রংশ রূপ হলো রাজপুত । কবি বাণভট্টের মতে উচ্চ বংশের ক্ষত্রিয় দের বলে রাজপুত। হর্ষের মৃত্যুর পর থেকে মুসলিম আক্রমণ এর আগে অর্থাৎ 647 থেকে 1192 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে বলে রাজপুত যুগ। ব্রাহ্মণ কবি চাঁদ বরদৈ এর পৃথ্বীরাজ রাসো গ্রন্থ থেকে জানা যায় মাউন্ট আবু পাহাড়ে বশিষ্ঠ মুনি 14 দিন ধরে যজ্ঞ করার সময় যে বীরের প্রার্থনা করেছিলেন তার ফলে এই যজ্ঞের অগ্নিকুণ্ড থেকে প্রতিহার, পর্মার, চৌহান, চালুক্য, কলচুরি, শোলাঙ্কি প্রভৃতি রাজপুত বীর এর জন্ম হয়। রাজপুতদের এই জন্ম তত্ত্ব কে অগ্নিকুল মতবাদ বলা হয়। কিংবদন্তি অনুসারে রাজপুতরা চন্দ্র ও সূর্য বংশীয় । অনেক ঐতিহাসিক এই মতকে মানেন না। তাদের মতে শক, হুন, কুশান ও গুর্জর জাতির মানুষ উদ্দিষ্ট স্থানে বসবাসের সময় ভারতীয় রমণীদের বিবাহ করেন। কালক্রমে এইসব বিদেশিদের বংশধররা শৌর্য-বীর্যে বলিয়ান হয়ে ওঠে। এই কারণে রাজপূত্রা হলো একটি মিশ্র জাতি।
•1000 খ্রিস্টাব্দে বুন্দেলখন্ডের চান্দেল‍্যরা খাজুরাহে কেন্দ্রীয় মহাদেব মন্দির নির্মাণ করেন।
•গুজরাটের সোলাঙ্কি রা আবু পাহাড়ে দিলওয়ারা মন্দির নির্মাণ করেন।
•কলহনের রাজতরঙ্গিনী ( কাশ্মীরের ইতিহাস ) ও জয়দেবের গীতগোবিন্দ এই সময়ে রচিত হয়েছিল।
যশোধর্মন : প্রথমে তিনি গুপ্তদের একজন সামন্ত শাসক ছিলেন। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকের প্রথম দিকে যশোধর্মন স্বাধীন মালব রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর মান্দাশোরে তা রাজধানী স্থাপন করেন। মান্দাশোরের বর্তমান নাম দশপুর। তিনি 531 খ্রিস্টাব্দে হুন নেতা মিহিরকুল কে পরাস্ত করেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url